চট্টগ্রাম শহরে বাসা বদল সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে। পরিকল্পনা মাফিক গুছিয়ে ফেলুন ‘আলপিন’ থেকে ‘আলমারি’ পর্যন্ত যাবতীয় সব। নতুন বাড়ির ঘর গুছোতে গিয়ে আর ঘেঁটে ‘ঘ’ হতে না হবে আপনাকে৷ যাঁরা শিফটিং করছেন বা করবেন, তাঁদের জন্য জরুরি কিছু পরামর্শ দিলেন বাসা বদল কোম্পানীর পরিচালক।
চট্টগ্রামে বাসা বদল সার্ভিস
‘বাড়ি পরির্তন ’ ছেলের হাতের মোয়া নয়, যে উঠল বাই তো ‘নতুন’ বাড়ি যাই বললেই হয়ে গেল৷ পুরোটা ম্যানেজ করতে গিয়ে অনেক ‘তালেবর’কেও ল্যাজে-গোবরে হতে হয়েছে৷ তাই প্যাকিংয়ের আগে একটা প্ল্যান ছকে নিন৷ তারপর গোছাতে বসুন৷ যেমন- জিনিস গোছানোর সময় মনে হয় সবই অতি প্রয়োজনীয়৷ তাই কোনগুলো কম প্রয়োজনীয় সেগুলো আগে বাছুন৷ একেবারেই সরিয়ে ফেলুন সেগুলো৷ এতে প্যাকিংয়ের পরিমাণ কমবে৷
পারলে আগে গিয়ে নতুন বাসা বাড়ির আয়তন দেখে আসুন৷ তাহলে আপনার পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে কতটা জিনিস নতুন বাড়িতে ধরবে৷ এবার সেই বুঝে প্যাকিং করুন৷ নতুন বাড়িতে কবে শিফট করছেন প্রতিবেশীদের আগে জানিয়ে রাখতে পারলে খুব অসুবিধায় পড়লে তাঁরাও এসে আপনাকে ঘর গোছাতে সাহায্য করতে পারেন৷
বাজার থেকে মাঝারি মাপের কিছু বাক্স কিনে আনুন৷ খুব ছোটো মাপের বা ইয়া গোদা সাইজের কিনবেন না৷ এবার তাতে যাবতীয় জিনিস ভরুন৷ কোন বাক্সে কী ভরছেন সেটা যদি লেবেল করে বাক্সের গায়ে আটকে দিতে পারেন তো অর্ধেক কাজ সেখানেই সেরে রাখলেন৷ নতুন জায়গায় গিয়ে আর হাতড়ে মরতে হবে না আপনাকে৷
যাবতীয় ইলেকট্রিক্যাল গ্যাজেট একটা ব্যাগ বা বাক্সে রাখুন৷ নতুন বাড়িতে গিয়েই তাহলে সবার আগে সেগুলো সেট করে নিতে পারবেন৷ ফ্রিজ সরানোর আগে ডিফ্রস্ট করে নিন৷ ভেন্টিলেশনের জন্য ফ্রিজের দরজা খোলা রাখুন৷
জিনিস তো গোছানো হল৷ এবার ফাঁকা বাক্সগুলো নিয়ে কী করবেন? স্টোরেজ স্পেস থাকলে তো সমস্যাই রইল না৷ সেখানে গুছিয়ে রাখুন, যাতে পরে আবার কাজে লাগাতে পারেন৷ একাম্তই জায়গার অভাব ঘটলে কাছের রি-সাইক্লিং সেন্টারে ওগুলো দিয়ে এসে বাড়ি ফাঁকা করুন৷
কখনোই উইক এন্ডে শিফট করবেন না৷ যদি সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নেন, কোনও জিনিস আনতে ভুলে গেলে তারা কিন্ত্ত ছুটির দিনে আপনাকে সার্ভিস দেবে না৷ তখন আপনাকেই বয়ে নিয়ে আসতে হবে বাকি জিনিস৷
বাড়ি ছাড়ার আগে দেখে নিন কোনও কিছু ফেলে গেলেন কিনা৷ দরজা-জানালা ভাল করে বন্ধ করে দেবেন৷ বাড়ির সমস্ত চাবি একটা খামে ভরে বাড়ির নতুন মালিকের হাতে তুলে দিন৷ এতে দু’পক্ষেরই সুবিধে হবে৷