বাসা বদল চট্টগ্রাম: বিভন্ন জেলা থেকে চাকুরী, ব্যবসা ও নানাবিধ কর্মসংস্থানের সুবাদে বাসা বদল করে চট্টগ্রাম গমন করে এবং অস্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে। বলা যায় বাংলাদেশের সব জেলার মানুষতো আছেই এছড়াড়ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাবাষির মানুষ বসবাস করে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তর বিভাগীয় শহর যাহা বাংলাদেশর একমাত্র আন্তর্জাতিক নদীবন্দর। এই জেলার মাধ্যমেই মুষ্ঠিমেয় আমদানী রফতানী হয়ে থাকে। ফলে ভাড়া বাসায় থাকে অসংখ্য লোকজন।
বাড়ি বদল ঝক্কির ঝামেলার কাজ। কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি হয় নিজের যখন বাড়ি না হয় আর কোন উপায় থাকে না। বিশেষ যাঁরা বদলির চাকরি করেন যাঁরা বাড়িতে থাকেন কিছু দিন পর পরই বাসা বদল করতে থাকেন ৷ সাধারণ এমন কিছু টোটকা যাতে দেখতে সহজ হয় বাসা বদল।
বাসা বাড়ি বদল করার সময় ৭ বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে:
১। সময় নিয়ে গোছান
সুন্দরভাবে সব জিনিসপত্র স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে বেশী সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় গোছগাছ অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভাল হয় এক দিনে বাসা বদল না করে কয়েক দিন অল্প অল্প করে করে নিয়ে যেতে পারলে পারলে।। গোছানো শুরু করার আগে একটি সময়সূচি তৈরি করুন করুন। সেই অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাদে বাকি জিনিস গুছিয়ে গুছিয়ে ফেলুন আগেই আগেই।
২। বাসা বদলের যন্ত্রপাতি:
ফ্রিজ খালি করে ফেলতে হবে শিফটিং এর আট ঘণ্টা আগে। এসি, গিজার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ওয়াশিং মেশিন থাকলে তা আগে ডেকে খুলতে হবে। সেই সব জিনিসকে ভালোভাবে ফিটিং এর ব্যবস্থা করা, সেই জিনিসের প্রয়োজনীয় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা , আর নাট কুড়ার মতো ছোট ছোট টুকরো জোর দিয়ে চাপ দিতে পারে। নতুন জায়গায় যাওয়ার আগে রান্নার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি আপনি আপনার সিলিন্ডার নিতে পারেন, তা হলে এই অফিসের ‘ট্রান্সফার’ করতে হবে। যদি এই কান অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করে নতুন কান সক্রিয় করতে চান, তা দেখতে গেলে আপনার বর্তমান কান বন্ধ করতে অনুমতি নেওয়ার অনুমতি নাথি নিতে হবে।
৩। সঠিক জিনিস বাছুন:
যে ধরনের কার্টুন বক্স এ করে জিনিসপত্র নিয়ে যাবেন সেগুলি যেন ভাল মানের হয়। পর্যাপ্ত পরিমানে বাবল র্যাপ সংগ্রহ করুন। পাশাপাশি গোছানোর সময় এমন বহু জিনিস মিলবে যেগুলি দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয়নি। এই সুযোগে সেই সব জিনিস বাতিল করে দিন। প্রতিটি বাক্সের উপর লিখে রাখুন সামগ্রীর নাম। কোনও মতেই বাক্সের আয়তনের তুলনায় বেশি জিনিস ভরাট করবেন না। আবার কোনও জায়গা ফাঁকাও রাখবেন না। তাহলেই জিনিস নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৪। নির্দিষ্ট বাক্সে নির্দিষ্ট জিনিস:
একই ধরনের জিনিস একই সঙ্গে রাখাই ভাল। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একটির প্রভাবে অন্যটির ক্ষতি হতে পারে, এমন দুটি জিনিস একসঙ্গে না রাখা হয়। অনেক সময় এই বিষয়টি মাথায় থাকে না। কিন্তু মনে রাখবেন, জিনিসপত্র টানটানি করার সময় বাক্স উল্টে পাল্টে যেতে পারে ফলে ভিতরের জিনিস স্থির থাকে না। বিশেষত, রাসায়নিক জিনিসপত্র, ধারাল জিনিস, বৈদ্যুতিক জিনিস, রান্নার সামগ্রী কিংবা রূপটানের বস্তু আলাদা বাক্সে ভরা উচিত।
৫। অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের জন্য আলাদা করে রাখুন:
নতুন বাড়িতে পৌঁছেই দরকার হতে পারে এমন কিছু সামগ্রী একটি আলাদা বাক্সে ভরতে হবে। অল্প কিছু খাবার দাবার, ইন্ডাকশন আলদা করে নিতে হবে, যাতে পৌঁছে কিছু জল খাবার খেতে হলে অসুবিধা না হয়। পরের দিন অফিস কাছারি থাকলে অফিসের পোশাক ও প্রয়োজনীয় জিনিস ভরতে হবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ব্যাগে। কারণ অনেক সময়, নতুন বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সব কিছু খুঁজে পেতে সমস্যা হতে পারে।
৬। দামি জিনিস নিজের মতো রাখুন
জিনিসপত্রের মূল্য সব সময় টাকায় মাপা যায় না, গয়নাগাটি ছাড়াও এমন অনেক জিনিস থাকে যা স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। বাড়ি বদলের সময় এই জিনিসপত্রগুলি হারিয়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের জিনিস বাক্সে ভরা উচিত নয়। নিজের কাছে রাখাই ভাল।
৭। পেশাদারদের ডাকুন
যদি অর্থনৈতিক সমস্যা না থাকে তবে পেশাদার সংস্থার সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের সংস্থা নিজেদের দায়িত্বে জিনিসপত্র গুছিয়ে নতুন বাসস্থলে রেখে দিতে পারে।
বাসা বদলের কাজটি আসলেই একটি ঝামেলা পূর্ণ কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল কাজের আঞ্জাম দেওয়া গৃহের কর্তার সম্ভব হয়ে উঠেনা। নিয়মিত ব্যস্ততার ফাঁকে বাসা বদলের জন্য আলাদা সময় বেড় করা একটি দুরুহ ব্যাপার এজন্য আপনি জদি ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে চান। তাহলে আমাদের সহযোগিতা নিতে পারেন। চট্টগ্রামের যেকোন যায়গায় বাসা পরিবর্তনের জন্য আমাদের টিমকে ফোন করলে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই আমাদের একজন ম্যানেজার আপনার বাসায় গিয়ে দরদাম জানিয়ে দিবে।