ঝুঁকিমুক্ত বাসা বদল করতে কে না চায়? কিছু নিয়ম-কানুন, সঠিক পরিকল্পনা ও নির্ভরযোগ্য মুভিং কোম্পানী নির্বাচন করতে পারলে শতভাগ নিরাপদে বাসা স্থানান্তর সম্ভব। বাসা বদল মানেই কিছুটা ঝামেলা ও ঝুকি থাকবেই। তবে এ সময় মাথা ঠান্ডা রেখে পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি ধাপ এগুতে পারলে শিফটিং পরবর্তী আনন্দের বেড়াজাল কষ্টের কথা মনেই হতে দেবেনা। আমাদের রয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ একাধিক টেকনিক্যাল টিম যারা বাসার প্রতিটি কাজ আলাদা ভাবে মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে চুড়ান্ত শিফটিং এর প্রস্তুতি গ্রহন করে।
শিফটিং কাজে ঘরের সকলের অংশগ্রহন
ঘরের সকলে মিলে যদি বাসা বদল পূর্বে অবসর সময়ে প্রতিদিন অল্পকিছু সময় ব্যয় কর তবে এই কঠিন কাজটি দেখবেন পানির মত সহজ লাগছে। তখন সকলে মিলে এক সুরে বলবেন বাসা বদল আসলেই সহজ কাজ। নিজের কাজ নিজে করার যে কি আনন্দ সেটা উপলব্দি করতে পারবেন। আরো আনন্দ পাবেন যখন দেখবেন আপনার প্যাকিং করা প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র আগের মতই রয়েছে কিছুই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তখন দ্বিগুন আনন্দ যোগ হবে। বাসা পরিবর্তন করার সময় যে পরিশ্রম হয়েছে তাহা নিমিষেই ভুলে যাবেন। বাসা পরিবর্তনের সময় নিজেদের কাজ নিজেরা করে নিলে একাধিক সুবিধা রয়েছে যেমন: আছে (১) অর্থ ব্যয় কম হবে (২) চিন্তামুক্ত থাকা যাবে (৩) আসবাবপত্র থাকবে সম্পূর্ণ অক্ষত (৪) সময় নিয়ে আগে থেকে কাজ শুরু করলে নিয়মিত কাজের কোন ব্যাঘাত ঘটবেনা ইত্যাদি। একটু টেকনি খাটালেই সকল কাজ নিজে করতে পারবেন। আমার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীক অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শেয়ার করব যাতে করে আপনি এখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বাস্তব কাজে প্রয়োগ করতে পারেন। আমার নিজের মুভিং কোম্পানী থাকা সত্বেও আমার যখন বাসা শিফটিং করি তখন নিজেই অধিকাংশ কাজ করে ফেলি। প্যাকার্সদের অপেক্ষায় থাকিনা। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আপনাকে কোন ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হবেনা। তবে একটু সাহস রাখতে হবে।
বাসা বদলের ট্রিকস এন্ড টিপস
বাসা বদল এর অভিজ্ঞতা অর্জন ও বাস্তবে প্রয়োগের জন্য কিছু টেকনিক্যাল কাজ জানা থাকতে হবে। এই কাজ জানার জন্য কোন ওস্তাদ ধরার প্রয়োজন নেই, কোন ট্রেনিং সেন্টার এ যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দরকার শুধু সাহস, মনে রাখবেন ভয় পেলে চলবেনা। অল্প অল্প করে অনেকগুলো টেকনিক্যাল কাজ জানা থাকা লাগবে। এই কাজগুলো যদি আপনি একবার আয়ত্ব করে নিতে পারেন তবে আপনাকে কোন দিন কোন মিস্ত্রীর পিছনে ছুটতে হবেনা। অতিরিক্ত টাকাও খরচ করতে হবেনা। আপনি যেখানেই যান যেখানেই থাকেন ততক্ষনিকভাবে গৃহস্থালীর যেকোন সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন। কিছু কিছু কাজ আছে ৫থেকে ১০মিনিট সময় ব্যয় করলে ও কিছু টেকনিক জানা থাকলে নিজেই সমাধান করা যায় কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে আমরা মিস্ত্রীর স্বরণাপন্ন হই। সবসময় সবজায়গায় তাদের পাওয়াও যায়না আবার পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত দাম চাওয়ার কারনে অনেক সময় পিলে চমকে উঠেন। সামান্য একটু কাজের জন্য বেশী টাকা খরচ করতে হয়। আমি যে টেকনিকগুলোর কথা জানাব সেগুলো জানা থাকলে শুধু বাসা বদলের সময় নয় জীবনের যে কোন সময় বাসার যেকোন সমস্যা দেখা দিলে নিজেই সমাধান করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতী সংগ্রহে রাখুন বাসা বদলের কাজ নিজেই করুন
প্রথমেই আপনাকে প্রয়োজনীয় কিছু টুলস কিংবা যন্ত্রপাতী সংগ্রহ করতে হবে। যে যন্ত্রপাতীগুলো থাকলে অনায়াসে গৃহস্থালীর যেকোন কাজ করতে পারবেন। যেমন: ঘরের কোন একটি পানির কল বা টেপ দিয়ে ঝিরঝিরে পানি পরছে এটি ঠিক করতে হবে অথবা নতুন সংযোজন করতে হবে। একটি কল কিনতে একশ থেকে দুইশত টাকা খরচ হলো কিন্তু ইহা ফিটিং করার জন্য একজন মিস্ত্রী আনলে তাকেও কলের দাম পরিমান টাকা দিতে হবে। এই কাজটি অনায়াসে করতে পারেন। এইজন্য দরকার শুধুমাত্র একটি রেঞ্জ ও প্লাস। বাসার যেকোন দামী কল, বেসিনের কল, বাথরুমের কল, কিচেন কল ইত্যাদি। মনে রাখবেন কল খুলে লাগানোর আগে থ্রেড টেপ লাগিয়ে নিবেন। নতুবা পানি চুষিয়ে পরবে। একটি থ্রেড টেপের দাম মাত্র ২০টাকা। একবার কিনলে সারা বছর ব্যবহার করতে পারবেন। কলের মাথায় একটি নেট থাকে এটি খুলে পরিস্কার করে দিলে নতুনের মতই কাজ করে। ধরেন বেসিনের একটি পাইপ ব্লক হয়ে বেসিন থেকে পানি নামছেনা। এই ছোট কাজটি নিজেও করতে পারেন। সেনেটারী দোকান থেকে একশত টাকায় এটি কিনে নিজেও ফিটিং করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রেও থ্রেড টেপ লাগবে, নাহলে পানি চুষাবে। এখন ধরেন বাসা পরিবর্তনের জন্য ফ্যান খোলা লাগবে ও নতুন বাসায় গিয়ে ফিটিং করা লাগবে। এই কাজটিও আপনি নিজেই করতে পারেন। এমনি ভাবে খাট খোলা ফিটিং, আলমারী, শোকেস যা কিছুই খোলা ও ফিটিং করা লাগে সবই আপনি নিজেই করতে পারবেন।
ফার্ণিচার ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি
সংগ্রহে রাখুন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতী
প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতী সংগ্রহে রাখতে পারেন। এসকল যন্ত্রপাতী রাখার জন্য অবশ্যই একটি টুল বক্স সংগ্রহ করতে পারেন। এবার যেসকল যন্ত্রপাতী সংগ্রহ করবেন তার একটি তালিকা দিব। এগুলো কমদামে কিনতে হলে আপনাকে যেতে হবে নবাবপুর রোড। সেখানে পাইকারী দামে ভাল জিনিসটি কিনতে পারবেন।মনে রাখবেন একবার যদি এসব টুলস সংগ্রহ করেন তবে আজীবন কাজে লাগবে। আরেকটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমি আজকে জানাব যেটা আজও হয়ত কেউ বলেননি, তাহলো একটি বক্স বা ডিব্বা রাখবেন এটাতে শুধু যেকোন ধরনের স্ক্রু, ওয়াসা, তারকাটা, তার ইত্যাদি সংগ্রহে রাখবেন। যেখানে যাই পান ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স এর যন্ত্রপাতী নাট বল্টু সব ইহাতে কালেকশনে রাখবেন। দেখবেন প্রয়োজনে এক টাকা দামের একট বল্টু হাজার টাকার কাজ দিবে।
টেস্টার: একটি ভালমানের টেস্টার সংগ্রহ করবেন। ইহা হচ্ছে ইলেকট্রিক কাজের প্রথম ধাপ। বলা যায় কারেন্ট এর কাজের প্রবেশ পথ। যেকোন কাজ করবেন প্রথমে টেস্টার দিয়ে চেক করে নিবেন। যেকোন তার বা যন্ত্রতে হাত দেওয়ার আগে চেক করবেন বিদ্যুত আছে কিনা। যদি চেক না করে হাত দেন শর্ট খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাসা বদল করার কাজে ইহা খুবই কাজে দিবে। পুরোনো বাসায় সবকিছু খোলার কাজে ও লাগবে আবার নতুন বাসায় গিয়ে সবকিছু যখন ফিটিং করবেন তখনও কাজে লাগবে।
প্লাস: এই যন্ত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারী কারন ইহা শুধু বাসা পরিবর্তনেরন কাজেই লাগবেনা বরং সকল ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার আছে। ইহার নানামুখী ব্যবহার আছে। এই যন্ত্র দিয়ে যেকোন তার বা অন্য কিছু কাঁটা যায়, তার কানেকশন বা জোড়া দেয়া যায়। ফ্যান খোলার কাজে খাট খোলার কাজে ইহা ব্যবহার হতে পারে। বাসার যেকোন কল খোলা ফিটিং, নাট বল্টূ টাইট দেয়ার জন্য ইহা ব্যবহার হয়। বাসা বদল করার সময় প্রতি পরতে পরতে ইহা প্রয়োজন হবে। এমন কোন ক্ষেত্র নাই যে ইহার ব্যবহার নাই। সকল কাজেই এর দরকার পরবে। গ্যাসের চুলা খুলে নতুন বাসায় গিয়ে ফিটিং করাজ জন্য ইহা প্রয়োজন পরবে। শুধু ইলেকট্রিক কাজ ছাড়াও যেকোন প্রয়োজনে কাজে লাগবে। অতএব বাসা পরিবর্তন করার সময় এই প্লাসটি আপনার কাজকে করবে খুবই সহজ।
হাতুরি: শিশু থেকে বৃদ্ধ এই হাতুরী চেনেনা এমন মানুষ নেহায়েত খুঁজে পাওয়া যাবেনা। হয়ত এমনও হতে পারে আমাদের অজান্তে শিশু বয়সেও হাতুরি দিয়ে পিটাপিটি করেছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। বাসা ও অফিস শিফটিং এর জন্য হাতুরী একটি অপরিহার্য যন্ত্র বলা যায়। ইহাও সকল কাজেই লাগে। বাসা বদলের কাজ হাতুরী ছাড়া একদম অচল। আপনি যে কাজেই হাত দিবেন দেখবেন হাতুরী লাগবেই। খাট ফিটিং, খোলা; পানির কল খোলা ফিটিং এর জন্য হাতুরী ঘরে কোন তারকাটা লাগাবেন হাতুরী দরকার। ক্ষুদ্র থেকে বৃহত কাজেই এই যন্ত্রটির প্রয়োজন পরে। আপনার টুল বক্স এর সংগ্রহশালায় এই যন্ত্রটি থাকলে বিশেষ করে বাসা বদলের ক্ষেত্রে খুবই উপকৃত হবেন।
বাসা স্থানান্তর এর সময় কিছু কাজ কখনো নিজে করতে যাবেন না।
বাসা বদলের সময় অনেক কাজই যেমন নিজে করতে পারেন আবার কিছু কাজ আছে নিজে না করাই ভাল ফলে হিতে বিপরীত হতে পারেন। কিছু কাজ আছে যেকোন মানুষই করতে পারে। চাই দক্ষতা থাকুক বা নাই থাকুক। কিছু কাজ আছে পেশাদার লোক ছাড়া করানো উচিত নয়। যেমন: এয়ার কন্ডিশন, গিজার, আইপিএস, এল.ই.ডি টিভি খোলা এবং সেটিং করা। এরকম আরো এডভান্স লেভেলের কাজ আছে যেগুলো একজন পেশাদার মিস্ত্রী দিয়ে করাতে হবে। এসব কাজ পেশাদার টেকনিশিয়ান দিয়ে না করালে হতে পারে আপনার পুরো যন্ত্রটিই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরে খাজনা থেকে বাজনাই বেশী হবে।
৫টি টিপস অনুসরণ করলে বাসা বদলের কাজ হবে আরো সহজ
যারা শহর কিংবা শহরতলীতে বসবাস করেন তাদের বাসা বদলাতে হয়নি এমন পরিবরার নেহায়েতই খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিভিন্ন প্রয়োজনেই মানুষজন বাসা বদল করে থাকে। একেকজনের প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন রকম। কেউবা প্রয়োজনে বাসা বদল করে থাকেন আবার কেউ বা একান্ত ঠেকাবশত করে থাকেন। বাসা বদল যদিও একটি ঝামেলাপূর্ণ কাজ অনিচ্ছা সত্বেও বাসা বদল করতেই হয়। আর বাসা বদলের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত সবধরনের জিনিসপত্র প্যাকিং করার বিষয়টি। যতই বিরক্তিকর কিংবা সময়সাপেক্ষ হোক না কেন, বাসা বদল করতে গেলে প্যাকিং করতেই হবে। অন্য সবকিছুর মতই, জিনিসপত্র গোছগাছ করার আগেই যদি আপনি ঠিকঠাকভাবে প্ল্যানিং করে নেন তাহলে মিটে যায় অনেক ঝামেলাই। এ পর্যায়ে নিজেরাই যদি বাসা বদলের প্যাকিং ও অন্যান্য কাজের আঞ্জাম দিতে চান তবে প্রস্তুতি কি রকমের নিতে হবে এ বিষয়ে কিছু টিপস বর্ণনা করব, ফলে আপনার বাসা বদল থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় কাজের সহায়ক হবে:
ফার্নিচার : নতুন বাসা উঠার আগে পুরোনো ফার্ণিচার বার্ণিশ করিয়ে নিতে পারেন। বাসা পরিবর্তনের আগে বার্ণিশ করালে অবশ্যই ভালভাবে প্যাকিং করে নিতে হবে। নতুবা বার্ণিশ নষ্ট হয়ে যাবে। নতুন বাসায় গিয়েও বার্ণিশ করাতে পারেন। আর বিক্রি করতে চাইলে পুরোনো ফার্নিচার ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনো ফার্নিচার খোলার প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞ ফার্নিচার মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলুন। অধিক নিরাপত্তার জন্য চট দিয়ে পেঁচিয়ে নিন।
ক্রোকারিজ ও কাপড়-চোপড় : কাচের জিনিসপত্র, শোপিস পুরোনো খবরের কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে কার্টন, বালতি অথবা পাতিলে রাখুন। কাপড়-চোপড়, চাদর, পর্দা ইত্যাদি কার্টনে ভরে স্কচটেপ লাগিয়ে সুতলি দিয়ে বেঁধে নিন। কোন কার্টনে কি রাখলেন তা মনে রাখার জন্য মার্কারি পেন দিয়ে লিখে রাখুন। রান্নাঘরের হাঁড়ি-পাতিল এবং ক্রোকারিজের জিনিস বস্তায় ভরে নিন।
ব্যক্তিগত ও মূল্যবান জিনিসপত্র : গহনা, ঘড়ি, মোবাইল, সিডি-ভিসিডি, দামি শোপিস, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ইত্যাদি আলাদা করে ব্যক্তিগতভাবে বহন করুন। শিফটিংয়ের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা না রাখাই ভালো।
ইলেকট্রিক আইটেম : ঘরের ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার ইত্যাদি অরিজিন্যাল কার্টনে রাখাই ভালো। যদি কার্টন না থাকে ককশিট সংগ্রহ করে এয়ারকন্ডিশন, ফ্যান, গিজার, আইপিএস ইত্যাদির জন্য একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সঙ্গে আগে থেকেই আলোচনা করে নিন।
সঠিক পরিকল্পনাই একটি সুন্দর বাসা পরিবর্তনের পূর্বশর্ত
শহরের প্রতি মহল্লা বা এলাকায় মাসের বিভিন্ন সময়ে বাসা বদলের হিড়িক পরে। শুধু যে মাসের শেষের দিকে বাসা বদল করতে হয় তা কিন্তু নয়। মাসের যে কোন সময় ও দিনে আপনার সুবিধামত এই কাজটি সাড়তে পারেন। আনুমানিক পরিসংখ্যান করলে ধারনা করা যায় খোদ ঢাকা শহরেই প্রতি মাসে কয়েক হাজার বাসা পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই সময়টাতে বেশীরভাগ মানুষই ঝামেলা ও উদ্বীগ্নের মধ্যে সময় কাটায়। সেক্ষেত্রে পুরো দেশের চিত্রটা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়। বাসা বদলের এই সময়টায় আমরা কমবেশি সবাই ঝক্কি ঝামেলার ভিতর দিয়ে যাই। যতটা ঝামেলামুক্ত উপায়ে প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করা যায় সেই লক্ষ্যই থাকে সবার। মাথা খাটিয়ে ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে বাসা বদলের মতো ঝামেলার কাজও হয়ে ওঠে সহজ। বাসা বদলের পুরো প্রক্রিয়াকে কিভাবে সহজেই সম্পাদন করা যায় এ পর্বে তেমনি ৮ টি টিপস দিবো যা আপনার বাসা বদলের পুরো প্রক্রিয়াটিকে করে তুলবে সহজসাধ্য ও ঝামেলাহীন।
১) নতুন বাসায় কোথায় কোন জিনিস থাকবে, কোথায় কি যাবে- এই পুরো প্রক্রিয়াটির পরিকল্পনা আগে থেকেই সেরে ফেলতে হবে।
২) বাসায় এমন কিছু আইটেম থাকে যা অকেজো বা আপনি ভবিষ্যতে ব্যবহার করবেন না। এই আইটেমগুলো কোন দাতব্য সংস্থাকে দান করতে পারেন কিংবা বিক্রয় করে দিতে পারেন। এর ফলে বাসা বদলের খরচ কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে এবং আপনার দুশ্চিন্তাও কমবে।
৩) যে মাসে নতুন বাসায় উঠব তার আগের মাস থেকেই গোছগাছের কাজ শুরু করে দিতে হবে। প্রথমেই ছোট বড় কিছু কার্টন সংগ্রহ করা আবশ্যক। বাসার কাঁচের জিনিস কিংবা শোপিসগুলো কাগজে পেঁচিয়ে এইসব কার্টনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কার্টনগুলিতে কিছু চিহ্ন দিয়ে রাখতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে কার্টনটি সনাক্ত করা যায়।
৪) এছাড়া বাসার জামাকাপড়গুলো একসাথে করে বিছানার চাদরে পেঁচিয়ে রাখা ভালো। এতে করে কাপড়ের ভাঁজ খুলবে না এবং কাপড়গুলো ময়লা কিংবা ধুলোবালু থেকে দূরে থাকবে। তবে বিছানার চাদর অবশ্যই বাসা বদলের পর ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।
৫) বাসায় থাকা বড় বড় টিন কিংবা কন্টেইনারে চামচ, ছুরি, দা, বটি – এইসব জিনিসপত্র রাখা উচিত।
৬) বাসা বদলের আগের দিন ফ্রিজের লাইন বন্ধ করে নিন। এছাড়া টিভি, ফ্রিজসহ জিনিসপত্রগুলো বাসা বদলের আগের দিন ঘুছিয়ে ফেলুন।
৭) তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে সময় নিয়ে বাসা বদলের কাজগুলো সেরে ফেলুন। বাসা বদলের জন্য পিকআপ কিংবা ট্রাক ভাড়া করতে হলে তার ব্যবস্থা আগেই সেরে ফেলতে হবে।
৮) পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাসা বদলের পুরো ব্যাপারটাকে একটি থার্ড পার্টি বা সার্ভিস প্রভাইডারকে দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ‘বাসা বদল ডট কম বাল্ক প্যাকেজ হতে পারে সেরা সমাধান।
বাসা পরিবর্তনের জন্য এ দেশে নামে বেনামে বিভিন্ন কোম্পানী বিদ্যমান। এই বিষয় নিয়ে বাংলা ও ইংরেজীতে বিভিন্ন লেখালেখিও আছে প্রচুর তবে বাসা বদলের ওয়েবসাইট এই প্রথম আমরা চালু করলাম যাতে করে এখান থেকে সকল ধরনের গ্রাহকগন তাদের প্রয়োজনী সার্ভিসটি বেছে নিতে পারেন অনায়াসে। আমাদের সাইটে সকল শ্রেনীর গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ।